এবার রোহিঙ্গা ডাকাতের গুলিতে এক নারী নিহত

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল

কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা শিবিরে ডাকাত দলের ছোঁড়া গুলিতে রহিমা খাতুন(৩৫) এক রোহিঙ্গা নারী নিহত। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে বিরাজ করছে আতংক।

জানা যায়, (২২ জুন) শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তথ্য সুত্রে আরো জানা যায়, এর আগে শনিবার দুপুরে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয় শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২৬ নং শিবিরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের ছোঁড়া গুলিতে ঐ নারী গুলিবিদ্ধ হয়।নিহত নারী হলেন,শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্প এ-১ ব্লকের সালেহ আহাম্মদের স্ত্রী।

এব্যপারে নয়াপাড়া মোছনী রোহিঙ্গা শিবিরের ডি বল্কের মেম্বার নুর কবির ও মহিলা চেয়ারম্যান রমিদা বেগম গুলিবিদ্ধ নারী কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তার লাশটি রোহিঙ্গা শিবিরে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এ হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতাই নিয়ে এসে কঠোর শাস্তি প্রদান করার দাবী জানান তারা।

ক্যাম্পের চেয়ারম্যান আরো বলেন,শনিবার দুপুরে শিবিরের পাশে গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসী ডাকাত দলের গুলিতে রোহিঙ্গা নারী গুলিবিদ্ধ হয়।

এদিকে স্থানীয় কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়,রোহিঙ্গা ছালে আহমদ পরিবার নিয়ে শালাবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের পাহাড়ের তীরে আশ্রয় নেয়। কিছুদিন আগে তার মেয়েকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েকবার তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে আশপাশের লোকজনসহ বাধাঁ প্রদান করে।তারেই সুত্র ধরে শনিবার তার স্ত্রী পাহাড়ে গরু বেধে দিতে গেলে, সশস্ত্র সন্ত্রাসী ডাকাত জকির, সেলিম,হারুনসহ বেশ কয়েকজন তার উপর এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষণ করে। এরপর রহিমা গুলিবিদ্ধ মাঠিতে পড়ে যায়। তারপর স্থানীয়রা সহযোগিতায় ক্যাম্পে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করে।

টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবির পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আব্দুস সালাম বলেন, এ শিবিরের এ-১ ব্লকের স্বসস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি বর্ষনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

তিনি বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের আইনের আওয়তাই নিয়ে আসার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।